সতেরো বড় ঝাপিয়ে পড়ার বছর,
গভীর জলে খুঁজতে পারে কুমীর নখের আঁচড়।
সতেরো বছর পারবে মায়ের
চুল বাঁধা দেখতে দেখতে বা
প্রেমিকার বাঁকা চাওনি বুঝতে বুঝতে
কবিতা লিখতে আর তারপর তাকে
মহাকাব্য ভেবে উল্লাসে ফেটে পরতে কারণ,
ও যে আঠারোর পথযাত্রী। আঠারো ছুঁলেই
ওকে যুদ্ধে যেতে হবে হাতে নিয়ে যৌবনের নিশান-
এ তারই প্রস্তুতিকাল। আঠারো পেরুলেই
এই ভাসমান মাইন তীর খুঁজতে কম্পাস নিয়ে
দিক নির্ণয় করতে বসবে, পড়বে,
উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু, চর্যাপদ,
মধ্যযুগ, আধুনিক বা উত্তর আধুনিক।
যেমনটা করেছিলেন নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, শেলি, সুকান্ত।
এমন কী লালন বা কালিদাসও কী পড়েন নি জীবনের চর্যাপদ?
পড়বে কাগজের বই, জীবনের বই, প্রকৃতির বই
এমন কী নিজের ভেতরের আলমারিতে রাখা
জানা অজানা অসংখ্য পুস্তক। কে তারে ঠেকায় এবার,
সে যে পদ্য আর মহাকাব্যের দূরত্ব মাপবে এবার!
সতেরোর ঢেউ সুখ খুঁজে পাবে কোন এক চল্লিশের মোহনায়।
//সাহানা পারভীন।
আকুয়া, ময়মনসিংহ।