দেয়ালে সব নীরব নারীর সমাবেশ
ক্যামেরা আসবেনা বলে
আসেনি কেউ,
এমনকি তরুন শিল্পীর দলও
একটা ছবি, লাফিয়ে উঠলো হঠাৎ
আর সেই মুহূর্তে আর্তনাদ করে
নীরবতা খান খান হয়ে
ছড়িয়ে পড়লো মেঝেয় –
তার দু’একটা টুকরো বুকপকেটে নিয়ে
বাড়িও ফিরলাম আমি একাই।
-ফিলিপিন্স
অপরাহ্নের নিঃসঙ্গতায় তাই ন্যাপথলিনের গন্ধ।
পদ্মপানায় স্থির মাছরাঙ্গা এক,
নিঃশঙ্ক চিত্তে ঝড়ের অপেক্ষায়-
সামান্য বর্ষণেই বুকে তুলে নেবে, কদমের ঘ্রাণ।
দাওয়ায় ভাসে দূরাগত দীর্ঘশ্বাস
কাকে মনে করে থেমে যায়
কার গোবর লেপা দুটো হাত।
পুরোটা উঠান জুড়ে শুধু
অলস রোদের একলা কাটাকাটি।
মেঘ আর রোদের এমন লুকোচুরি
কোন এক প্রাচীন দুপুরে
কাছে এনেছিলো তাকে, ইশারায়-
গ্যাছে আরো শত কতো বিষন্ন দুপুর
রয়ে গ্যাছে শুধু ফেলে রাখা হেঁয়ালি তার।
যে যায়, কেন সে ফেলে রেখে যায়
রহস্যময় অচিন ছায়া সব?
মায়াবী স্মৃতিবিষ?
কেন প্রতি ঝড়ে ফিরে ফিরে
আসে উদ্দাম ক্ষতচিহ্ন সব,
মাতাল হাওয়ার ঘরছাড়া ডাক?
……………………………….