প্রশ্নকর্তার মুখের ভিতরেই কি লুকিয়ে আছে উত্তরের ছাপ? বোঝা যাবে গন্তব্য আরো কিছুদূর এগিয়ে গেলে, পালকপথের দুরত্বের
ভার জোড়া সাঁকোয় গিয়ে পড়লে। সরকারি কোষাধ্যক্ষের বাংলো বরাবর বসেছে যে পাহারার মেলা তার উপলক্ষ্য ঠিক করে
আন্দাজ করা যায়নি। হাজিরাতেই হারিয়ে যাবার প্রস্তুতিকল্পের কারনেই হয়ত এ যাত্রার আলোযজ্ঞ। তবে ভিন্ন কোন সাধনা আর
জানা নেই আমার, আলোবতি। আপনিই তো সব, আর আমি হলাম কূপের মাছ, যে কিনা কুপি জ্বেলে খায় ভাত। সূর্যের কোন
মাপকাঠি ছিলনা তাই আমারও ঠিকানা বলে কোন সীমানা হয়নি। আর আমি যে সমুদ্রান্ধ, আমার শরীর ভজলে হয়ত জানা যেত
গোপনে রাখা কড়া লিকারের কিছু আবেগী মুহূর্ত। তবে হজম হবে কিনা আমি বলতে পারব না কিন্তু একজোড়া তাবিজ পাবেন আর
সাথে উলঙ্গপথের নিঃসঙ্গ পাহারাদার। যার বুক পকেটের ভাঁজগুলোতে তোলা হয়েছিল যৌবনের ইতিহাস। ভয়ের কোন কারন
নেই, এ পথে শব্দচাবির কোন আয়োজন রাখা হয়নি। যদিও আপনাদের কৌতুহলি মনে এ বিষয়ে জানবার সাধ ছিল অগাধ…